অর্পিতা বিশ্বাস, নদীয়া :“ প্রথম যেদিন এসেছিলে আর হেসেছিলে সবে ,এমন জীবন করিতে হবে গঠন মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন ”
নদীয়া জেলার ঘূর্ণি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে “নেতাজি মেলা” ২৩ তম বর্ষে শুভ উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট ব্যক্তি শঙ্কর ধর দও । এই মেলায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর অসিত কুমার সাহা ,নেতাজি ব্রিগেডের অন্যতম সভাপতি সুর্ণিমল কুন্ডু , সনৎকুমার মৃধা ,এছাড়া ও অন্যান্য শিল্পী , অতিথিবৃন্দ । অসিত কুমার সাহা বক্তব্যে বলেন — মেলা মানেই মেলবন্ধন ,আর মেলবন্ধন মানেই মানুষের জমায়েত । আমাদের এই নেতাজি মেলা করার উদ্দেশ্য -আমরা নেতাজি ভক্ত । সুধীর ভট্টাচার্য্য ও কালীকিঙ্কর স্বর্ণকার অনুপ্রেরণা দিয়ে আমাদের বলেছিলেন ১৯২৬ সালে নেতাজি এসেছিলেন ঘূর্ণি উচ্চবিদ্যালয়ের উওর প্রান্তে । এই সময় যে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল, দেশবন্ধু মৃত্যুর পরে সেই অর্থ দিয়ে একটি লাইব্রেরী করা হয়, যার নাম “দেশবন্ধু লাইব্রেরী”। তাই নেতাজি নামাঙ্কিত এই লাইব্রেরী এখন জেলা গ্রন্থাগারে পরিনত হয়েছে । তাছাড়া ও প্রত্যেক বছর জুন মাসে ছুটে যায় পলাশীর প্রান্তরে । যেখানে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছিল এবং সেইখানে প্রথম নেতাজি এসে শপথ নিয়েছিল ভারতবর্ষের মুক্তি আন্দোলনে । তাই আজ ও আমরা সেখানে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে আসি মীরমদন থেকে শুরু করে সিরাজদৌল্লা পর্যন্ত । ১৯৯৭ সালে ১০০বছর যখন পূর্তি হয় অর্থাৎ ১৮৯৭সালে নেতাজির জন্ম । ১৯৯৭সালে কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণিতে এই মেলা শুরু হয়েছে ।
No comments