কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষণ শেঠ ! তমলুকে লড়াই চর্তুমুখী
ঋভুব্রত সেনগুপ্ত, নিউজ বেঙ্গল টুডে : একদা সিপিএমের দাপুটে সাংসদ লক্ষণ শেঠ দুবার দল বদল করে কংগ্রেসে যোগ দিলেন। সেই সঙ্গে প্রার্থী হলেন তমলুকে। ফলে তমলুকে এবার চর্তুমুখী লড়াই হচ্ছে । তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ কোন দল বুঝে উঠতে হিমসিম খাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
নন্দীগ্রামে গনহত্যা কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত লক্ষণ শেঠকে ২০০৯ সালে তমলুক কেন্দ্র থেকে পরাজিত করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু অধিকারী।২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হয়। সিপিএমের ভরাডুবি হলে লক্ষণ শেঠ গ্রেপ্তার হন। জেল থেকে বেরিয়ে পরবর্তীকালে তিনি বিজেপি তে যোগ দেন। গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষণ শেঠকে টিকিট দেয়ণি বিজেপি। লোকসভা ভোটে টিকিট নিশ্চিত করতে শেষপর্যন্ত তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র লক্ষণ শেঠের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
তমলুক কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে শুভেন্দু মন্ত্রী হন। ফলে উপ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বর্তমানে তমলুকের সাংসদ রয়েছেন দিব্যেন্দু।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তমলুক আসনে সিপিএম প্রার্থী কোলাঘাটের বতর্মান বিধায়ক ইব্রাহিম আলী।
বিজেপি প্রার্থী নদীয়ার নবদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা কীর্তনীয়া সিদ্ধার্থ নষ্কর।
তমলুক কেন্দ্রে এবার লড়াই জমে উঠেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কে প্রধান বিরোধী তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা কল্পনা।
২০১৬ বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ভালো ফল হলেও তমলুক লোকসভা কেন্দ্র এলাকায় ভরাডুবি হয় তৃনমূলের। ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৩টি আসনে জয়ী হয় সিপিএম। ফলে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বলে দাবী করছে সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে ৭টির মধ্যে ৩টি কেন্দ্রে জিতিয়েছেন। কড়া নিরাপত্তায় ভোট হলে আমরাই জয়ী হব।
কীর্তনীয়াকে প্রার্থী করায় এবার হিন্দু ভোট তাদের বাক্সে পড়বে বলে বিজেপির দাবী। বিজেপি নেতা জয় মল্লিক বলেন, আমাদের প্রার্থীর এক লক্ষ অনুগামী রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। অন্য দিকে মোদীজীর উন্নয়নের ভোট এক হয়ে আমরা জয়ী হব তমলুকে ।
কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষণ শেঠ জানান, রাজনৈতিক চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করা হয়েছিল। এলাকার মানুষ আমাকে চেনেন। ভালো বাসেন। আমার আমলে কিভাবে উন্নয়ন হয়েছেন জানেন। শুধুমাত্র প্রতীক নয়, আমার কাজ দেখে ভোট দেবেন।
বিরোধীদের অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজী নয় তৃনমূল কংগ্রেস। দলের সহ সভাপতি নন্দ মিশ্র বলেন, বিরোধীরা কে দু নম্বর, কে তিন নম্বর, কে চার নম্বরে থাকবে লড়াই করছে। গত উপ নির্বাচনে আমরা ৫ লক্ষ লিড পেয়েছিলাম। এবার লিড আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।

No comments