Latest Breaking

পরিবেশ বাঁচলে তুমিও বাঁচবে

তরুন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা : মাটির নীচে জল নেই।বাতাসে অক্সিজেন নেই।পরশুরামের কুঠার অনবরত বৃক্ষের ছেদন করে চলেছে।বৃক্ষ রোপন আজ স্বপ্ন ।এই ভাবেই আজ রুক্ষ প্রকৃতি আমাদের চোখে।অন্য কোন উপায় না আবিষ্কার হলে আমরা আর কিছু বছরের মধ্যে মরুভূমির ছবি দেখবো সুজলা সুফলা এই বাংলায়।কষ্ট করে আমাদের আর রাজস্থান যেতে হবে না উঠে চড়তে। 

শিবপুর বিজ্ঞান মঞ্চের উদ্যোগে শিবপুর পাবলিক লাইব্রেরি হলে বিভিন্ন বক্তব্যের সারমর্ম ছিল এই কথাগুলি।
প্লাস্টিকের মাত্রাহীন ব্যাবহারে ও সেই বর্জ মাটির নীচে চলে যাওয়ায় ছিটেফোঁটা জলও যেতে পারছে না মাটির গভীরে।ফ্লাট বাড়ির আগ্রাসী থাবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত জল তুলে নিচ্ছে নিত্য ব্যাবহারে।মানুষ বর্তমান কে স্মরনে রেখে ভবিষ্যতের পথ কে কন্ঠকময় করে তুলছে নিত্য।মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলা ভার।শুধু কি তাই নদী বরাবর ইঁটভাঁটার লোলুপ থাবা মাটি কেটে মুনাফার পাহাড় জমালেও ভূমিড়ক্ষয় রোধে কোন হেলদোল চোখে আসছে না।বাজার চলতি মানুষের থলিতে বৃক্ষের চারা ভরে দিয়ে বিজ্ঞান মঞ্চ গাছ বসাতে উৎসাহ দিলেও তা সিন্ধু তে বিন্দু মাত্র ।
হাওড়া জেলার অধিকাংশ নদী আজ নালায় পরিগনিত।বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেও পরিবেশ চেতনা মানুষের মনে দাগ কাটছে না।
জল বায়ু মৃত্তিকা নদীপথ আজ দূষণের কবলে।তাই বলতে ইচ্ছে করে দাও ফিরে সে অরন্য লহ এ নগর।
হাজারো না এর সঙ্গে অসম যুদ্ধ করে চলেছে বিজ্ঞান মঞ্চ ও তার শাখা সংগঠন গুলি।
শিবপুর বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক শঙ্কর মুখার্জি এই শহরকে সবুজায়নের জন্য আদা জল খেয়ে  কাজ করে চলেছেন।কাজটি কঠিন হলেও অসম্ভব নয় এই বিশ্বাসে এলাকার মানুষ এগিয়ে এসেছেন ।জল বাঁচান জল ভরুন।ভূমিক্ষয় রোধ করুন।নব জাতকের কাছে নতূন পৃথিবী উপহার দেবার তাগিদে বিজ্ঞানী থেকে সাধারন মানুষ কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই চালাচ্ছেন।এটি হাজার না এর মধ্যে আশার আলো।ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত ।গাছে গাছে পাখির ডাক শুনতে নদীর কুলকুল ধ্বনি শুনতে পরিবেশবিদদের এ প্রচেষ্টা স্বার্থক রুপ পাক ।আমরাও সবুজ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি।

No comments