ম্যারেজ রেজিষ্টেশনের নতুন রুলস আনতে চলেছে রাজ্য সরকার
| রাজভবনে আইনমন্ত্রীর অফিসে ম্যারেজ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। |
ঋভুব্রত সেনগুপ্ত, কলকাতাঃ নিয়োগপত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার, তবে নেই কোনো বেতন ! রয়েছে সামান্য কিছু কমিশন। সারা মাসে আয় হোক বা না হোক নিজের খরচে চালাতে হবে অফিস। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ইলেকট্রিসিটি, অফিস ভাড়া এমনকি কর্মচারী থাকলে তারও খরচ বহন করতে হবে নিজেকে। এভাবেই ম্যারেজ অফিসারদের নিয়োগের জন্য আইন তৈরি করে গিয়েছে বামফ্রন্ট সরকার। গত এক দশক ধরে একই আইনে নিয়োগপত্র দিয়ে চলেছে মা মাটি মানুষের সরকার।
ম্যারেজ অফিসারদের সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করা হচ্ছে, অবিলম্বে এই আইন বদল করে ম্যারেজ অফিসারদের অফিস মেইনটেনেন্স খরচ বাবদ মাসিক ভাতা প্রদানের জন্য রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এর সঙ্গে দেখা করে দাবি জানিয়েছে, ম্যারেজ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন। একই দাবি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্য সচিবকে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যারেজ অফিসারদের যে এভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়, এটা মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না। গত 10 বছর আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক নাকি এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোন দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি! সূত্রের খবর, ম্যারেজ অফিসার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আইন দপ্তরের সচিব এর কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে খুব শীঘ্রই নবান্ন থেকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। ম্যারেজ অফিসারদের মাসিক ভাতা, বিবেচনার ভাবনায় রয়েছে মমতার সরকার ।
মা মাটি মানুষের সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে খুব দ্রুততার সঙ্গে চালু করেছে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন সভায় বলেছেন, গত এক দশকে রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দা এই সরকারের দ্বারা কোন না কোন ভাবে উপকৃত হয়েছেন। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের চাকরি 60 বছর পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছে । অবসরকালীন সুবিধা হিসেবে এককালীন কিছু অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। প্রথমবার ক্ষমতায় এসে রাজ্যের কয়েক লক্ষ লোক-শিল্পীদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
এতকিছু দেওয়ার মাঝেও কেউ কেউ সরকারি সুবিধা থেকে এখনো বঞ্চিত থেকে গিয়েছে । এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজ্যের ম্যারেজ অফিসাররা। বাম আমলে 2010 সালে শেষবারের মতো সামান্য কিছু কমিশন বাড়লেও, বর্তমান সরকারের আমলে এদের কোনো সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়নি।
| আইন দপ্তরের সচিবকে গন ডেপুটেশন দিয়ে রাইটার্স বিল্ডিং-এর সামনে ম্যারেজ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা । |
ম্যারেজ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক, জ্যোৎস্না মাহাতো জানান, রাজ্যে হাজার খানেক ম্যারেজ অফিসার আছেন। গ্রামীণ এলাকায় অনেক ম্যারেজ অফিসার রয়েছেন, যাদের মাসে দু- চারটির বেশি বিয়ে হয়না। অথচ প্রতিদিন সরকারি নিয়ম মেনে অফিস খুলে বসতে হয়। আয় হোক বা না হোক অফিসের সমস্ত খরচ বহন করতে হয়। আমরা আইনমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব-কে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। আইনমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন।।
No comments