Latest Breaking

অবলুপ্ত প্রায় হাস্যরসাত্মক ভাঁড়যাত্রা

ঋভুব্রত সেনগুপ্ত : " অবলুপ্ত প্রায় ভাঁড়যাত্রা - ফিরে দেখা" --পঃবঃ সেন্টার ফর ফোকলোর স্টাডিজ এ্যনড রিসার্চ আয়োজিত ও কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগিতায় ডঃ সুধীর চক্রবর্তী স্মারক বক্তৃতা সভার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হলো।   ১৭ অক্টোবর রবিবার বিকাল চারটায় অনলাইনের আলোচনার মাধ্যমে "অবলুপ্ত প্রায় ভাঁড়যাত্রা-ফিরে দেখা" শীর্ষক বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও পাঁশকুড়া ব্রাডলি বাট হাই স্কুলের (উঃমঃ) শিক্ষারত্নপ্রাপ্ত শিক্ষক মানসকুমার দাস। 

অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত ভাঁড়যাত্রা কেমন , বর্তমানে কোন অবস্থায় তা নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেন শিক্ষক মানসকুমার দাস। এক সময় সারা রাজ্যের মানুষের অবসর বিনোদনের জন্য ভাঁড় যাত্রার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। ভাঁড় শব্দের আভিধানিক অর্থ হাস্যরসিক বা বিদূষক। নুনের ভাঁড়, তেলের ভাঁড়, তাকে কি বলি ভাঁড়,  ঘরের মধ্যে ছিল এক নদের গোপাল ভাঁড় ।  বর্তমানে অবলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লোক নাটক ভাঁড় যাত্রা। গ্রামে ভাঁড় যাত্রা অভিনয় এখন তেমন দেখা যায় না। আধুনিক চলচ্চিত্র দর্শনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে ভাঁড় যাত্রা এঁটে উঠতে পারছে না, কোনমতে কোথাও কোথাও এই ভাঁড় যাত্রা টিকে আছে। 

অনলাইনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব ও সুন্দর ভাবে সংযোজনা করেন কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডঃকাকলী ধারা মন্ডল। সভার শুরুতে অধ্যপিকা কাকলী ধারা মন্ডল প্রয়াত লোক সংস্কৃতির গবেষক, সাহিত্যিক ও অধ্যাপক বঃ সুধীর চক্রবর্তীর স্মরনে প্রাসংগিক বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের অধ্যপিক ড্ঃজীতেশ চন্দ্র রায়,অধ্যাপক ডঃআশুতোশ সরকার, গবেষক ও অধ্যাপক ডঃ দেবাশিস বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।

ভাঁড়যাত্রা হল এক রঙ্গ-ব্যঙ্গমূলক ও ধর্মীয় নিয়ন তন্ত্রের বেড়াজাল মুক্ত হাস্যরসাত্মক নাটক। এর মূল উপজীব্য বিষয় হলো অনাবিল হাসি। ভাঁড় যাত্রা ভাঁড় রঙ্গ কৌতুক এর মাধ্যমে আসর মাতিয়ে রাখেন।

ভাঁড় যাত্রা- ভাঁড় এর উপস্থিতি দু রকম ভাবে লক্ষ্য করা যায়, প্রথমত কোন পালার একটি দৃশ্য শেষ হলে বারবার তার সঙ্গিনীকে এনে কয়েকমিনিট দর্শকদের হাসিয়ে যায়। দ্বিতীয়তঃ বেশিরভাগ পালায় ভাঁড়ের নিজেই একটি প্রধান চরিত্র হয়ে ওঠে।



No comments