শিক্ষাক্ষেত্রে এই প্রথম ছাটাই শুরু পশ্চিমবঙ্গে ! দীপাবলিতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ
নিয়োগকর্তা বদল করা হলেও কর্মীদের বদল করা যাবেনা, 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর এমন নীতি নিয়েছিল শাসকদল তৃনমৃল কংগ্রেস। কিন্তু বৃত্তিমৃলক শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ। ২০১৩ সাল থেকে সরকারি ও সরকার পোসিত বিদ্যালয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্তর্গত বৃত্তিমূলক বিষয়ে শিক্ষা দান করে থাকেন চুক্তি ভিত্তিক শতাধিক শিক্ষা ও শিক্ষা কর্মী।
দীর্ঘ ৮ বছর সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেও হটাৎ করে প্রায় ৩০০ জন ল্যাব কর্মী ও শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে যোগদান না করার জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষা মহলে যথেষ্ট উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলে ২০ মাস পঠন পাঠন বন্ধ থাকলেও এই শিক্ষক ও ল্যাব কর্মীরা ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে শিক্ষাদান থেকে মিড ডে মিল বিতরণ সবকিছুতেই নিজেদের কর্তব্যে অবিচলভাবে কাজ করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরে ১৫০ ল্যাব কর্মী ও শিক্ষক কর্মহীন হয়েছেন। এই শিক্ষকদের এজেন্সি দিয়ে নিয়োগ করা হয় তাই চাকরির নিশ্চয়তা নেই।
কাজে পুনর্বহালের দাবিতে ও সরকারি বিদ্যালয়ে এজেন্সি দিয়ে NSQF শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ও বেসরকারিকরণ বন্ধের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ NSQF শিক্ষক পরিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধির পক্ষ থেকে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরে নিমতৌরিতে জেলা শাসকের দপ্তরে DM এবং ADM মহাশয়কে ডেপুটেশন দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসুচি করা হয় ।
সংগঠনের সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক বলেন "স্কুল শিক্ষায় বেসরকারিকরন করে আমাদের শিক্ষক ও ল্যাব কর্মীদের আজ কর্মহারা হতে হয়েছে, স্কুল খুলছে কিন্তু স্কুলে যাওয়ার রাস্তা চিরদিনের জন্য বন্ধ। আমরা এতদিন ধরে হাতে কলমে শিক্ষাদান করলাম এই তার পরিণতি। অবিলম্বে আমরা বিদ্যালয়ে ফিরতে চাই, দিদির রাজ্যে শিক্ষক ও ল্যাব কর্মীদের কর্মহীন সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকুরী সুনিশ্চিত করে হাজার হাজার শিক্ষক ও ল্যাব কর্মীদের পরিবারকে বেসরকারিকরন থেকে মুক্ত করুন। আমরাই সরকারি স্কুলে বেসরকারী শিক্ষক। "
ছাটাই হওয়া শিক্ষা কর্মীদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন তৃনমৃল কংগ্রেসর জেলা নেতা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মামুদ হোসেন। তিনি বলেন, নিয়োগকর্তা বদল হলেও কর্মীদের বদল করা যাবেনা। এরা যাতে সুবিচার পায় মুখ্যমন্ত্রী ও কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।
No comments