মানব সেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ "আরতি"
সোমনাথ মুখার্জী, নিউজ্ বেঙ্গল টুডে, কলকাতা : সমাজের কাছে দায়বদ্ধতা, যথার্থ মানব দরদী মন ও পিতা মাতা র প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তির প্রগাঢ় নিদর্শনের মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা আরতি, সাধারণ মানুষ কে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসছে প্রখ্যাত শল্য চিকিৎসক ডাঃ দীপঙ্কর সরকারের হাত ধরে।
ডাঃ দীপঙ্কর সরকার এদেশে তাঁর ডাক্তারির পাঠ নিয়ে বিদেশে গিয়ে উচ্চতর চিকিৎসা বিদ্যার পাঠ নিয়ে এসেছেন। তাঁর প্রয়াত মায়ের নামে গড়ে তুলেছেন "আরতি পলিক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক"। বাবার নামাঙ্কিত সমরেন্দ্রনাথ সরকার চেরিটবল ট্রাস্ট এর পরিচালনায় আরতি পথ হেঁটে ফেলল ৩ বছরেরও বেশী সময়।
অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে রক্তপরীক্ষা ইত্যাদি র মাধ্যমে রোগ নির্ণয় (প্যাথলজি) বিভাগ, স্বল্প খরচে বিশিষ্ট সার্জেনদের নিয়ে সার্জারি বিভাগ এবং বহির্বিভাগে নাম মাত্র মূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানো, এই পরিষেবাগুলির দারা উপকৃত অগণিত মানুষ।
উদ্যোগী মানুষ ডাঃ সরকার জানালেন যে আগামী দিনে ক্যানসার চিকিৎসার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা 'বায়োপসি' চালু হতে চলেছে আরতিতে, এর জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে একটি বায়োপসি ইউনিট গড়ে তোলার পরিকল্পনা তাঁর রয়েছে। এছাড়া 'আরতি হেলথ্ কার্ড' এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগও রয়েছে। প্রকৃত মানব দরদী ডাঃ সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছা যে অদূর ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় নূনতম খরচে সাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। তিনি আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করছেন একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলতে। এই কাজে রাজ্য সরকার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলে হাসপাতাল গড়ে তোলা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে সমাজ তাঁকে ডাক্তার হতে সাহায্য করেছে, তার খানিকটা অন্ততঃ সমাজ কে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়বদ্ধতা তিনি এড়াতে পারেন না। ডাক্তারের প্রকৃত উদ্দেশ্য যে মানব সেবা তা তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া ডাক্তারবাবু তাঁর অতি ব্যস্ততার মাঝেও যতটা সম্ভব পরিবারকে সময় দেন। স্ত্রী, তিন পুএ কন্যা, পিসিমা কে নিয়ে তাঁর পরিবারের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়ে থাকেন ডাঃ সরকার। সংস্থার কমীর্দেরও নিজের পরিবারভুক্ত বলে মনে করেন ডাক্তারবাবু। সহধর্মিণী পারমিতা সরকার ট্রাসটের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। চিফ্ একজিকিউটিভ তাপস ঘোষের ভূমিকা আরতি কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য।
ছাত্র জীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনামের সঙ্গে খেলা ধূলা করেছেন ডাক্তারবাবু, ছিলেন দূরপাল্লার সাঁতারু,হয়তো সে কারণেই লম্বা সফরের, বড় এবং মহৎ কিছু ভাবনার সাহস ও ইচ্ছাশক্তির অভাব তাঁর নেই।
একটু অবসর পেলে গল্পের বই পড়তে ভালোবাসেন ডাক্তারবাবু। মানুষের জন্ম মৃত্যুকে খুব কাছে থেকে দেখা মানুষটির উপলব্ধি(যা তাঁর বার্তাও বটে)-যে জীবন অনিত্য, তা এই আছে এই নেই, সে কারণেই সমস্ত অহঙ্কারকে সরিয়ে রেখে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সহজ ভাবে মিশতে হবে, এবং 'আমি-আমার' করে বেড়ানো মানুষ যদি হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা/ফিয়ার অফ্ লুজিং কাটিয়ে উঠতে পারে তবেই সতেজ প্রাণে ভরপুর মানুষ জীবনের আসল সত্য হয়ত জানতে পারবে। তখন বেঁচে থাকার প্রতিটি মুহূর্ত হবে আনন্দের। এই সেবামূলক সদিচ্ছা নিয়েই মানুষের মাঝে ডাঃ দীপঙ্কর সরকার ও আরতি দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বুকে দীপ্যমান।।

No comments