বার্ধক্যের বারাণসী অমর সেবা সংঘ
দীপালি মিত্র, নিউজ বেঙ্গল টুডে : পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে রাইনে বেসরকারি উদ্যোগে ও কিছু বিদেশী সংস্থার সাহায্যে কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে কিছু বৈতনিক ও কিছু অবৈতনিক বৃদ্ধাশ্রম আছে। যে সব বৃদ্ধ বৃদ্ধারা সংসার,পরিবার ও নিজ বাসভবন থেকে বিতারিত তারা এইসব বৃদ্ধাশ্রমে অবলীলায় নিজের আত্মীয় পরিজনের মতো স্থান পায়। শুধু তাই নয় মান সম্মানের সঙ্গে তাদের দেখা শোনা সেবা যত্ন করা হয়। তাদের তিনবেলা আহারের ব্যবস্থা আছে।তার সঙ্গে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের প্রতিদিন যোগাসন করানো হয়। বৃদ্ধাশ্রম থেকে জামা কাপড় বিতরণ করা হয়। প্রত্যেকটি ঘরে দুজন করে বৃদ্ধ বৃদ্ধা থাকেন। প্রত্যেকের বিছানা, জামা কাপড়,বাসন সব আলাদা। বিভিন্ন জায়গায় নানান রকম অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় ও গাড়ি পাঠিয়ে ওনাদের নিয়ে যাওয়া হয়।যাতে ওনারা একটু আনন্দ পায়। ও একঘেয়েমি দূর হয়। আশ্রমের ভিতরে মন্দিরে দুবেলা পুজো হয়। এখানকার কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম বৃদ্ধ বৃদ্ধারা শেষ বয়সে কোথাও স্থান পায়না , তাদেরকে সযত্নে রাখা ও সেবা করাটাই এদের উদে্যশ। স্বাস্মী বিবেকানন্দের আদর্শ কে স্মরণ করে তারা দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ বৃদ্ধা দের সেবা করে চলেছে। এখানে পতে্যক কর্মী সেবার মনোভাব নিয়ে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে চলেছে। কোনো উদ্দেশ্য বা কোনো কিছু পাওয়ার লোভে নয়। শুধু বৃদ্ধ বৃদ্ধা দের একটু শান্তি ও নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া টাই ওনাদের উদেদ্যশ। যা তারা অনেকেই নিজপরিবার থেকে পায়না। এখানে যেসব বয়স্ক মানুষ যা থাকেন তাদের নিজেদের কোনো কাজ করতে হয়না। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা কমী আছেন। ওনারা অল্প কিছু পারিশ্রমিক পান।সব কাজই তারা সেবার মনোভাব নিয়ে করেন। এখানে সরকারি সাহায্য বলতে কিছু নেই। সবটাই বেসরকারি অনুদান ও সাহায্যে চলে। বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকার যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতো তাহলে হয়তো আরো ভালো পরিষেবা দিতে পারতো। তবে সরকারের উচিত এই সব মহৎ কাজের জন্য একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া যাতে এই সব আশমগুলো বছরের পর বছর ভালো পরিষেবা দিয়ে যেতে পারে। সরকারি সাহায্য পেলে আরো বিদ্ধাশ্রম বাড়িয়ে আরো অনেক বৃদ্ধ বৃদ্ধা দের পরিষেবা দিতে পারে। যাতে বৃদ্ধ বৃদ্ধা দের কারোর গলগ্রহ হতে না হয়। জীবনের বাকি দিন গুলো একটু শান্তি ও নিরাপদ আশ্রয়ে তারা কাটাতে পারেন। কয়েক জন বৃদ্ধ বৃদ্ধা র সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারলাম ওনারা বাড়ির থেকে বৃদ্ধাশ্রমে ভালো আছেন। সবার হয়তো বাড়ি নেই। অনেকের আবার বাড়ি থাকলেও দেখাশোনা করার কেউ নেই। ছেলে মেয়েরা বিদেশে থাকে। কারোর আবার ছেলে মেয়ে নেই।
No comments