জগজ্জননী রূপে অষ্টমীর অঞ্জলি পান মা সারদা, কোজাগরিতেও লক্ষ্মী তিনিই
কলকাতা : বড় সমিয়ানার নীচে পুজোর এলাহি আয়োজন। যে কোনও বড়ো বারোয়ারি পুজোয় ঠিক যেমন হয়। বোধন বা কলাবউ স্নান থেকে শুরু করে কুমারী পুজো। আগমনির আবাহনে যেমন উপাচার দরকার, তার কোনও অংশে কোথাও ত্রুটি নেই।
বাড়তি পাওনা বলতে সেই পুজোয় হাজার হাজার মানুষের ভিড় ও প্রসাদ বিতরণ। তবে ব্যতিক্রম দু’টি ক্ষেত্রে। এই বারোয়ারি পুজোর আয়োজন কোনও অস্থায়ী মণ্ডপ বা পাকা ঠাকুর দালানে হয় না। পুজোর আসর বসে একটি স্কুলের চাতালে।
এখানে দেবীর ১০ হাত নেই। অস্ত্র নেই। অসুর নেই। সিংহ নেই। নেই লক্ষ্মী, গণেশ সহ চার দেবদেবীর উপস্থিতিও। থাকবেই বা কী করে। এখানে দেবীরূপে যে পুজো পান সারদা মা। তাঁর বিরাট কাটআউটেই শারদীয়ার আরাধনা হয় ফি বছর। প্রতিদিন প্রসাদ পান চার হাজার মানুষ। সেই ভোজনপর্বে থাকে পেটপূরণের মস্ত আয়োজন।
দুর্গা ভাসানের পর লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করার রীতি সব মণ্ডপে, এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই। শুধু লক্ষ্মীরূপে এখানে অর্চনার মধ্যমণি সেই সারদা মা-ই। ভোগদান সহ যাবতীয় উপাচার তখনও হয় রীতি মেনেই।
ভবানীপুরের বিবেক বোধন জনকল্যাণ পরিষদের পুজো এবার ৩৬ বছরে পড়ল। এখানকার রামরিক ইনস্টিটিউশনের চাতালে প্রতি বছর যে বারোয়ারি পুজো হয়, সেখানেই সারদা মাকে দেবীরূপে আরাধনা করেন পরিষদের সদস্যরা।
কেন মাটির প্রতিমা বাদ রেখে মা সারদাকে আবাহন? এখানকার অন্যাতম কর্তা প্রদীপ মল্লিক, গৌতম বসুরায় সহ অন্যরা জানালেন, স্বামী বিবেকানন্দ একসময় জ্যান্ত দুর্গাপুজোর আয়োজনে মেতেছিলেন। তাঁর চোখে মা সারদা ছিলেন জগজ্জননী। তাই পূজিত হন তিনিই।
No comments