Latest Breaking

অদম্য জেদ ও ভালোবাসার মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে শ্রীমা জুয়েলার্স


সোমনাথ মুখার্জী, নিউজ্ বেঙ্গল টুডে,  কলকাতা : শুধু মাত্র অদম্য জেদ, আন্তরিক ভালোবাসা ও কঠোর পরিশ্রমের ফসল শ্রীমা জুয়েলার্স। দক্ষিণ কলকাতায় নাকতলার বুকে এক অনন্যসাধারণ পরিচিতির নজির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সঠীক সময় মতো খরিদ্দার কে তার চাহিদা মতো জিনিস তৈরি করে দেওয়াই শ্রীমা জুয়েলার্সের ব্যতিক্রমী চরিত্র। অর্ডার দেওয়া সোনা-রুপার গহনা তৈরিতে নিরলস কর্তব্যবোধের পরিচয় দিয়ে চলেছেন শ্রীমা জুয়েলার্সের কর্ণধার সুভাষ কর্মকার, বিগত পনেরো বছর ধরে।
অধুনা বাংলাদেশের বরিশাল জেলার মানুষ সুভাষ কর্মকার তাঁর কঠোর পরিশ্রম ও সততার দ্বারা পৈত্রিক জাত ব্যবসাকেই আঁকড়ে ধরেছেন। সুভাষ কর্মকার বলেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রবল আর্থিক সমস্যা এবং একই সঙ্গে দক্ষ ও সৎ কর্মচারীর অভাব ব্যবসা বাড়ানোর পক্ষে  প্রবল অন্তরায়। তাঁর আক্ষেপ যে, ছোট ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে ব্যঙ্ক ঋণ দিতে অনাগ্রহী। তবু সুভাষের প্রত্যাশা যে সরকার যেন তাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা একটু বিবেচনা করেন। মুদ্রা ব্যাঙ্কের ঋণ পেলে ব্যবসা বাড়ানোর পক্ষে কিছুটা সুবিধা হয় এবং মধ্যবিত্তের ছোট্ট দুয়েকটি ইচ্ছা পূরণ কিছুটা হলেও হতে পারে। সুভাষ অকপট।

পঁয়তাল্লিশটি বসন্ত পার করে দেওয়া সুভাষ দিনে প্রায় বারো ঘন্টা ব্যবসার পিছনে খাটেন। সংসার প্রতিপালনের কারণে প্রতি দিন ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটিকে বসে কাজের ফাঁকে স্বপ্ন দেখেন ভালো দিনের। আরও উদ্দীপনা নিয়ে কাজে মনোনিবেশ করেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও পুত্রের গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য। সময়ের অভাব বাধ্য হয়ে তাঁর পরিবার মেনে নিয়েছে।
কাজের মানুষ সুভাষ  সদাহাস্যময়। বেতার নাটক শুনতে ভালোবাসেন সুভাষ, ভালোবাসেন বিতর্ক অনুষ্ঠান। ক্রিকেটের ভক্ত সুভাষ বাঁশদ্রোণী নিউ শিবতলা উন্নয়ন সমিতির সদস্য। সর্বদা মুখে একচিলতে হাসি ঝুলিয়ে রাখা মানুষটির নতুনদের প্রতি বার্তা, যারা ব্যবসায় আসবেন তাদের সৎ ও কঠোর পরিশ্রমী  হতে হবে, ঝুঁকি নিতে পিছপা হওয়া চলবে না। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন যে "নিজের ব্যবসা হল পরম শান্তির জায়গা। পরিষেবার দ্বারা মানুষের চাহিদা পূরণে যে ভালোবাসা পাওয়া যায় তার মূল্য কখনো অর্থের দ্বারা নির্ধারিত হয় না।।"

No comments