বিশ্ব কবি মিলিয়ে দিলেন দুই বাংলাকে
সোমনাথ মুখার্জী ও অমিতাভ গাঙ্গুলি, কোলকাতা : দক্ষিণ কোলকাতার কালীঘাট অঞ্চলে টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রবীন্দ্র চর্চা ভবনে এসে পুর্ব বঙ্গের সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমিকায় রবীন্দ্রচর্চা বিষয়ে তার অসাধারণ তথ্য সম্বলিত বক্তব্য পেশ করলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও অধ্যাপক ড: গোলাম মুরশিদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ, পঙ্কজ শাহা। সভাপতি হিসেবে ছিলেন শমীক বন্দোপাধ্যায়। ডঃ মুরশিদ বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পাশাপাশি বিদেশের খাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,যেমন অস্টেলিয়ার মেলবোর্ন ও লণ্ডন বিশ্ব বিদ্যালয়ে অধ্যাপনা, গবেষণা করেছেন। এ ছাড়া ও বেতার সাংবাদিক হিসাবে বি বি সি-র সাথে যুক্ত ছিলেন। পুর্ববঙ্গে রবীন্দ্রচর্চা বিষয়ে তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডঃ মুরসিদ বলেন যে জাতিভেদ পথা, অবিভক্ত বাংলায় হিন্দু ও -মুসলমমান পারস্পরিক অবিশ্বাস ও ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি হয় এবং মুসলমান সমাজ প্রাথমিক ভাবে রবীন্দ্র বিরোধী হয়ে ওঠে।
আরবি ও ফারসি শব্দ প্রধান ভাষা ব্যবহারের ফলে তারা মূল বাংলা ভাষা চর্চা থেকে অনেকটাই দুরে থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে দেশভাগ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, মুক্তি যুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনের ফলে তার কবিতা ও গানের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ হয়ে ওঠেন লড়াইয়ের প্রতীক ও হাতিয়ার। তিনি আরো বলেন যে-" আকাশের সূর্য সবখানে তেই তার কিরন দেয়, তাকে চেপে রাখা যায়না। তাই রবীন্দ্রনাথ কে দুরে সরিয়ে রাখা অত্যন্ত অন্যয় ও মূর্খতার পরিচয়"এভাবেই বিশ্ব কবি মিলিয়ে দিলেন পুর্ব-পশচিম দুই বাংলাকে, মিলিয়ে দিলেন হিন্দু -মুসলমমান কে।
কবি শঙ্খ ঘোষ শারীরিক ভাবে অত্যন্ত অসুস্থ থাকার কারণে কোন বক্তব্য রাখতে পারেননি। আয়োজকদের তরফে সম্পাদক এ.এন.বসু বলেন যে ডঃ গোলাম মুরশিদের মত বিদগ্ধ মানুষ কে কাছে পেয়ে এবং তার অসামান্য পাণ্ডিত্য পূর্ণ বক্তব্য শুনে তারা অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও সন্মানিত বোধ করছেন।
কবি শঙ্খ ঘোষ শারীরিক ভাবে অত্যন্ত অসুস্থ থাকার কারণে কোন বক্তব্য রাখতে পারেননি। আয়োজকদের তরফে সম্পাদক এ.এন.বসু বলেন যে ডঃ গোলাম মুরশিদের মত বিদগ্ধ মানুষ কে কাছে পেয়ে এবং তার অসামান্য পাণ্ডিত্য পূর্ণ বক্তব্য শুনে তারা অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও সন্মানিত বোধ করছেন।

No comments