Latest Breaking

দু’টি রুগ্ণ পাট উৎপাদন সংস্থাকে বন্ধই করে দিচ্ছে মোদি সরকার



নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : ন্যাশনাল জুট ম্যানুফাকচার্স কর্পোরেশন বন্ধ করে দেওয়া হল। বন্ধ হচ্ছে কলকাতায় থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের অধিগৃহীত সংস্থা বার্ডস জুট অ্যান্ড এক্সপোর্টস লিমিটেডও।

রুগ্ণ এবং লোকসানজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আর চালানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই এই দুই রুগ্ণ সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাটের উপকরণ উৎপাদনে প্লাস্টিক এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ এই সরকারি সংস্থা।

জাতীয় পাট নিগমের অধীনে থাকা পশ্চিমবঙ্গের খড়দহ, টিটাগড় এবং কাটিহারের পাট উৎপাদন ইউনিটও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সামগ্রিকভাবে ন্যাশনাল জুট ম্যানুফ্যাকচারস নিগম ১৯৯৩ সাল থেকেই রুগ্ণ। পুনরুজ্জীবনের জন্য বিআইএফআরে পাঠানোও হয়। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবার বন্ধই করে দেওয়া হোক নিগম।

সেই মতো কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রকের আওতায় থাকা এই সংস্থা এবার স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একাধিক জুট মিল ও পরিচালক পর্ষদের অফিসের বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। এবার সেই জমি নিয়ে কী করা হবে সেটাই খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যদিও আগে থেকেই একটি অ্যাসেট সেলিং কমিটি কাজ করছে এইসব জুট মিলের সম্পদ বিক্রি করার প্রক্রিয়া নিয়ে। চলতি বছরের জুন মাসে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়েছে মন্ত্রকের কাছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর একটি সরকারি নোটে বিশেষ করে বার্ডস জুট অ্যান্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড বন্ধ হওয়ার কারণ হিসাবে কিছুটা দায়ভার চাপানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর।

বলা হয়েছে, এই সংস্থাটি রুগ্ণ হলেও, এটিকে কীভাবে পুনরুজ্জীবিত করা যায় সেই লক্ষ্যে একটি খসড়া রিপোর্ট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু জমির চরিত্র পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আপত্তি তোলে। পাশাপাশি সম্পদ বিক্রয়ের প্রক্রিয়া স্থির করার জন্য যে অ্যাসেট সেলিং কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছে তিন বছর দেরি করে। যা গোটা প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়।

যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই বার্ডস জুট অ্যান্ড এক্সপোর্টস লিমিটেডে এখন আর কোনও কর্মীই নেই। সুতরাং এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে না। সরকারি নোটে বলা হয়েছে, এভাবে লোকসানে চলা সংস্থাকে জোর করে চালিয়ে যাওয়া হবে না। এতে সরকারের ব্যয় অনেক কমবে। আর এইসব সংস্থাগুলির জমি অথবা সম্পদ অন্যভাবে ব্যবহার করে সরকারের আয় হবে। আর সেই আয়কে কোনও ইতিবাচক প্রকল্পে ব্যবহার করা হবে।

No comments