Latest Breaking

জৌলুস কমলেও রীতি মেনে পুজো হয় কান্দির জমিদার বাড়িগুলিতে



সংবাদদাতা, কান্দি : আগের মতো জৌলুস না থাকলেও কান্দির জমিদার বাড়ির পুজোগুলিতে আচার-অনুষ্ঠান একই রয়েছে। কোথাও বৈষ্ণব মতে কোথাও আবার শাক্ত মতে পুজো হয়। গত কয়েকদিন ধরে শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জমিদার বাড়িগুলিতে। কোথাও আবার পুজোর ১৫দিন আগে পুজো শুরু হয়েছে।

খড়গ্রামের পারুলিয়া রায়চৌধুরী পরিবারের কেউ গ্রামে থাকেন না। তবে পুজোর সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফেরেন। কিন্তু পুজোর সমস্ত কিছুর আয়োজন করার দায়িত্ব পুরোহিতের। প্রায় ৩০০বছরের প্রাচীন ওই জমিদারি বাড়ির পুজো ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উন্মাদনা থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জমিদারি আমলে এখানে সোনার প্রতিমা তৈরি হতো বলে কথিত আছে।

কিন্তু প্রায় ৩৫বছর আগে সোনার প্রতিমা চুরি হয়ে যায়। পরে পিতলের প্রতিমা তৈরি হয়েছিল। প্রায় দেড়ফুটের ওই প্রতিমা বির্সজন করা হয় না। তবে দেবীর ঘট বির্সজন করেই পুজোর সমাপ্তি ঘটে। মন্দিরের পুরোহিত ভূবন আচার্য বলেন, বাবুরা পুজোর সময় আসবেন ঠিক। কিন্তু পুজোর সমস্ত আয়োজন আমাকেই করতে হয়। পুজোর খরচ দেবোত্তর সম্পত্তি থেকেই হয়ে যায়। তাই এখন চরম ব্যস্ত রয়েছি।

এদিকে, সালার থানার কাগ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো প্রায় ৪০০বছরের প্রাচীন বলে জানা গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা ওই পুজোকে সাতআনা মায়ের পুজোও বলে থাকেন। এই পুজোর বিশেষত্ব হল দেবীর ভোগের আয়োজন। ভোগ তৈরি হয় পাঁঠার মাংস ও ইলিশ মাছ দিয়ে। দশটি কাঁসার থালায় দেবীতে ভোগ নিবেদন করা হয়। পরিবারের সদস্য তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজোর ১৫দিন আগেই দেবীর ঘট পুজো শুরু হয়েছে। প্রথা মেনে পুজো হয়।

এদিকে, বড়ঞা থানার পাঁচথুপি গ্রামে বেশ কয়েকটি জমিদারি পুজো হয়। সবকটি পুজোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। গ্রামের ঘোষমৌলিক পরিবারের পুজোর দেবীকে ডাকের সাজে সাজানো হয়। দেবীকে ময়ূরাক্ষী নদীতে বির্সজনের আগে গ্রামের বাজারে সাতবার ঘোরানো হয়।

No comments