বাড়ছে দূরত্ব - কমছে ভীড়, বইমেলা চায় স্থায়ী ঠিকানা
অর্পিতা বিশ্বাস ও দিপালী মিত্র, সল্টলেকঃ মেদিনীপুর থেকে কলকাতা বইমেলায় এসেছিলেন পেশায় শিক্ষক অমিয় রায়। উপ্রো মোড়ে বাস থেকে নেমে শিতের দুপুরে ঘামতে ঘামতে বইমেলা পৌঁছেই তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। মোবাইলে কাকে যেন বলতে থাকেন, সায়েন্স সিটির সামনে মিলন মেলার মাঠে বইমেলা হলে তবেই আগামী বছর আসবেন। সল্টলেকে আর নয়!
নদীয়া থেকে বইমেলায় এসেছিলেন গৃহবধূ অনামিকা মন্ডল। তিনিও যাতায়াতে একই সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, সায়েন্স সিটির কাছে বইমেলা হলে দুই থেকে তিন বার আসতাম। সল্টলেকে একবার এর বেশি আসবো ভাবতেই পারছিনা।
মোবাইলের দাপটে এমনিতেই বই পড়ার প্রবনতা কমেছে। এর ওপর দূরত্ব এবার বইমেলায় ভীড় কমিয়েছে।
ক্রেতা -বিক্রেতা সবাই চাইছে বইমেলা ফিরে যাক পুরানো মাঠে। সেটাই হোক স্থায়ী ঠিকানা।
বইমেলায় ভীড় বাড়ানোর জন্যে বই পিছু বেশি করি ছাড় দেওেয়ার দাবি করছেন বইপ্রেমীরা। উত্তর কলকাতার বাসিন্দা মহুয়া সরকার বলেন, কলেজ স্ট্রীটে কোন বই কিনতে গেলে ২০ শতাংশ ছাড় পাওয়া। বইমেলায় ১০ শতাংশের বেশি ছাড় দেওয়া হয়না। গাড়ি ভাড়া বেশি খরচ করে বেশি দূরে বইমেলা কিসের টানে লোকে যাবে। এই নিয়ে কর্মকর্তাদের ভাবার সময় এসেছে।
এক প্রকাশক বলেন, বইমেলাতে মোটা টাকা দিয়ে আমাদের স্টল দিতে হয়। স্টল এর ভাড়া কম দিতে হলে আমরাও বেশি ছাড় দেওেয়ার কথা ভাবতে পারি।


No comments